কিছুমিছু – ৩
ফিরে দেখা
বিদায় গুলসারি
লেখক –
চিঙ্গিস আইতমাতভ
বরং বলি, চিঙ্গিস টোরেকুলোভিচ আইতমাতভ, টোরেকুলপুত্র চিঙ্গিস আইতমাতভ।
স্তালিন জমানায় দেশের শত্রুদের নিশ্চিহ্নকরণ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রীয় খুনীবাহিনী এন কে ভি ডি-র হাতে নিহত সোভিয়েত কর্মী টোরেকুল আইতমাতভের ছেলে চিঙ্গিস আইতমাতভ – যিনি বাবাকে কখনো ভোলেননি।
‘যন্ত্র-বিশারদ’ আইতমাত কিম্বিলদিয়েভ এর ছেলে সমাজতন্ত্রী টোরেকুল -এর ছেলে যাঁর পাহাড় ও স্তেপ-এর আখ্যান নামে গল্প-ত্রয় পেয়েছিল লেনিন পুরস্কার- সেই চিঙ্গিস আইতমাতভ।
কির্গিজিয়ার একাধিক সোভিয়েত-বিমুখ জেলায় টোরেকুল-এর বুদ্ধিমত্তা আর দৃঢ়তায় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল জোতদার-জমিদার-কুলাকদের হাত থেকে জমি ছিনিয়ে এনে সাধারণ কৃষকের যৌথখামার।
আরাভান-এর গ্রামে গ্রামে তাঁর নামে গান বাঁধা হয়েছিল –
আইতমাতভের শোনো ডাক
নিজের ভাগ্য গড়ো নিজের হাতে
এই দেশ এই জমি তোমার আমার।
সেই টোরেকুল-এর অপরাধ? স্তালিন জমানায় অপরাধ করতে লাগত না। যাঁকে জেলে ভরা হয়েছে তাঁর প্রতি খারাপ কথা না বলাই যথেষ্ট হত নিজের জেলে যাওয়ার জন্য – খুন হয়ে যাওয়ার জন্য। আর তার সাথে নিজে যদি অন্যদের ঈর্ষা জাগানোর মত বুদ্ধি-ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন তবে ত হয়েই গেল। তার পরেও ছিল খুনি-বাহিনীর কোটা পূর্ণ করার দায়। কোটা পূরণ করে উঠতে না পেরে কত খুনি যে এক সময় নিজেই খুন হয়ে গেছে!
একটা চিঠি, একটা লেখা – রাশি রাশি বুলেট ঝরিয়ে দিত। শব্দ অসীম ক্ষমতা ধরে। চিঙ্গিস আইতমাতভ এটা বুঝেছিলেন খুব ছোটবেলা থেকে, বুঝেছেন বারে বারে। এবং, প্রয়োগ করেছেন এই অমোঘ অস্ত্রকে অতি যত্নে, অব্যর্থ অভিঘাতে। বিদায় গুলসারি এই অস্ত্রচালনার অংশ – পিতৃতর্পণ – আরও বেশী কিছুই হয়ত।
স্থান –
পাহাড় আর স্তেপ
দক্ষিণ সাইবেরিয়া থেকে বেরিয়ে পড়ে ঘুরতে ঘুরতে কিরগিজ উপজাতি ছড়িয়ে পড়েছিল মধ্য এশিয়া জুড়ে। নবম শতাব্দীতে উইঘুরদের পরাজিত করে সম্ভবতঃ তাদের সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত বিস্তার ঘটেছিল। তারপর থেকে মার খাওয়া আর ছুটে বেড়ানোর ইতিহাস। কখনো মঙ্গোল, কখনো চৈনিক, কখনো উজবেক আগ্রাসনে কির্ঘিজরা মিশে গেছে নানা জাতিসত্ত্বায়। এই মিশ্রণ পার করে নিজেদের কির্ঘিজ বলেই পরিচয় দিতে পারা মানুষগুলো অবশেষে জায়গা খুঁজে নিয়েছিল পাহাড় আর স্তেপের চারণভূমিতে। রেশম ব্যবসার পথ ধরে যুগে যুগে এখান দিয়ে নানা জনজাতির চলাচল, নানা সামরিক অভিযান। কখনো সম্রাট আলেকজান্ডার এসে থেমে গেছে এই কেন্দ্রভূমির কোন শহরে – আলেক্সান্দ্রিয়া এশ্চেট-এ, কখনো তালাশ নদীর প্রান্তরে চৈনিক বাহিনীকে থামিয়েছে আরবের সৈন্য বাহিনী। আগ্রাসন-এর পর আগ্রাসন-এ তাড়া খেয়ে বেড়িয়েছে এখানকার অধিবাসীরা।
এই তাড়া খাওয়া জীবন থেকে উদ্ধার পাওয়ার গল্প প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলেছে কির্গিজ মহাকব্যে। মানাস মহাকাব্যে বীরশ্রেষ্ঠ মানাস তিন পুরুষ ধরে লড়াই করেন খিতান আর ঐরাত মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে; সঙ্ঘবদ্ধ করেন চল্লিশটি উপজাতিকে। আজকের স্বাধীন কির্গিজ প্রজাতন্ত্র এই মহাকব্যের আলোয় তুলে ধরে নিজের সত্ত্বাকে। সে দেশের পতাকায় চারণ-জীবনের তাঁবুর প্রতীক-কে ঘিরে থাকা সূর্যের গায়ে ফুটে থাকে চল্লিশ রশ্মি।
কির্ঘিজিয়ার দুই বীর। একজন উপকথার – মানাস – শত্রু সংহার করেন ঘোড়ায় চড়ে তরবারি হাতে। অন্যজন বাস্তবে – চিঙ্গিস আইতমাতভ – লড়ে যান শব্দ সাজিয়ে লেখার পর লেখায়। কির্ঘিজিয়ার রাজধানীতে দু’জনের প্রতিমূর্ত্তি উদ্বুদ্ধ করে আজকের প্রজন্মকে।
কাল –
স্তালিন যুগ (এবং তার পর)
কির্ঘিজদের মার খাওয়া চারণজীবন মুক্তির আশায় উচ্ছ্বসিত উঠেছিল জার সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে সোভিয়েত রাশিয়ার উত্থানে। পরম উৎসাহে তারা বরণ করেছিল সোভিয়েত আদর্শকে। আর তারপর পেয়েছিল চরম বঞ্চনা আর মর্মান্তিক আশাভঙ্গ – স্তালিনের সোভিয়েত রাশিয়ার থেকে।
স্তালিনের রাশিয়া প্রবল গতিতে এগোতে চাইছিল নূতন মানুষ গড়ায় – সোভিয়েত মানুষ গড়ায়। যে কোন দেরীকে দেখছিল সন্দেহের চোখে। বিপরীত মত তো পরের কথা, যে কোন প্রশ্নকে ধরা হচ্ছিল দেশদ্রোহিতা হিসেবে – শাস্তি – ‘মরিবে সে জনা, অথবা নির্বাসনে’।
অনেক আশা নিয়ে সোভিয়েতে যোগ দেয়া মধ্য এশিয়ার দেশগুলির কাছে এ ছিল হঠকারিতা, আহাম্মুকী! নূতনকে বরণ করতে অতীতকে আমূল ভুলতে হবে, ছুঁড়ে ফেলতে হবে! কেন? এ ত নিজের পূর্বপুরুষদের প্রতি, সত্ত্বার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা!
তারা প্রশ্ন তুলেছিল কেউ কেউ। নীরব সমর্থন ছিল সেই সব প্রশ্নে অনেকের। শাসকের কাছ থেকে নেমে এসেছিল চরম আঘাত। নির্মম ভাবে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল কির্ঘিজিয়ার বৌদ্ধিক অগ্রবাহিনীকে। যাতে কোনদিন আর সেখানে কেউ সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটা কথা বলার চিন্তা পর্যন্ত না করতে পারে।
কিন্তু, ফাঁক থেকে গিয়েছিল।
সাধারণতঃ দেশের শত্রু বলে যাঁদের চিহ্নিত করে দেয়া হত তাদের আত্মপরিজনরাও রেহাই পেত না। নিঃশেষে উচ্ছেদ। টোরেকুল-এর পরিবার পরিজনদের উপরেও নেমে এসেছিল অত্যাচার আর তুলে নিয়ে গিয়ে হাপিশ করে দেয়ার খড়্গ। সম্ভবত চিঙ্গিস-এর দুই কাকা খুন হয়ে যান। একবার আর একটু হলেই চিঙ্গিস-ও হারিয়ে যেতেন। কির্ঘিজিয়ার সৌভাগ্য, জেরাকারীরা শেষ ধাপটার আগে রেহাই দিয়েছিল। আর ভুল করেননি চিঙ্গিস। অপেক্ষা করেছেন স্তালিনের মৃত্যুর। যত্ন করে শিখেছেন রাশান ভাষা, আয়ত্ব করেছেন শব্দের প্রয়োগ। ভাষার মায়াজালে শাসককে রেখেছেন বিভ্রান্ত করে। অবশ্য রাশিয়াও বদলে যাচ্ছিল।
স্তালিনোত্তর যুগের মুগ্ধ সোভিয়েত শাসকরা একের পর এক তাঁকে দিয়েছেন চূড়ান্ত সম্মান। স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধতা হালে পানি পায়নি সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বরাভয় হস্তচালনে। ‘বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদ’-এর প্রচারে অভিযুক্ত ‘দেশের শত্রু’ তরিকুল-এর ছেলে চিঙ্গিস আইতমাতভকে – প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করেছেন সোভিয়েত রাশিয়ার শেষ প্রেসিডেন্ট, মিখাইল গর্বাচেভ। যিনি চিঙ্গিস আইতমাতভ-কে বন্ধু বলে গণ্য করতেন; যিনি এনেছিলেন পেরেস্ত্রইকা, গ্লাসনস্ত, মুক্ত বাতাস। যে বাতাসে পাল তুলে একদিন স্বাধীন হয়েছিল কির্ঘিজিয়া। স্বাধীন কির্ঘিজিয়ায় চিঙ্গিস আইতমাতভ অপবাদ মুক্ত করেছিলেন বাবার নাম।
গল্প –
বিদায় গুলসারি
গুলসারি – সে তো সোনালী ঝুমকা ফুল? প্রায় তাই। ওই রকম সোনালী রং-এর এক ছটফটে ঘোড়া। জন্মের পরেই সে তুলে নিয়েছিল এক দুলকি চাল। জাত দৌড়বাজ। অপেক্ষা শুধু ঠিক লোকটির। এসে গেল সে ও – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ফেরত তানাবাই বাকাসভ।
এ সব অবশ্য আমরা জানছি তানাবাই-এর স্মৃতি চারণ থেকে। আজকে দুজনে মিলে চলেছে আলেক্সন্দ্রভকা থেকে তানাবাই-এর বাড়ি, স্তেপের প্রান্তর আর পাহাড় পার হয়ে। কিন্তু পার হওয়া কি আর হয়ে উঠবে? গুলসারি যে বুড়ো হয়ে গেছে, তানাবাইও।
তানাবাই চলছে আর ভাবছে – নানা কথা – গুলসারির, নিজের। তার ভাবনার সূত্র ধরে উঠে আসে আদর্শ বাস্তবায়নের নামে নেতৃত্বের অবিমৃষ্যকারী হঠকারী সিদ্ধান্তের পরিণতির বিবরণ। ধান্দাবাজদের হাতে সৎ মানুষদের লাঞ্ছনা আর বিতাড়ন। সাম্যবাদ-এর আদর্শ ধরে রাখার জন্য শেষ নিঃশ্বাসটা পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার সাথে সাথে অবিচারের শিকার বন্ধুর জন্য কিছু করতে না পারার যন্ত্রণার কাহিনী।
আইতমাতভের গল্পের অন্যতম সম্পদ তার চিত্রকল্প। কথায় ছবি আঁকেন।
“… পরে সে নদী থেকে আঁজলাভরে জল পান করল। ঠাণ্ডা কনকনে জল, তার সঙ্গে মুড়মুড়ে পাতলা বরফের টুকরো। জল কলকল শব্দে তার কাঁপা কাঁপা আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে গলে যাচ্ছিল, আবার সে জল তুলে মুখে দিল, জল পড়ে গা ভিজে গেল।” – মনে হয় যেন পাশে দাঁড়িয়ে দেখতে পাচ্ছি।
আছে চিরন্তন অসহায়তার গল্প। লেখকের নিজের জীবনের অপূর্ণ প্রেমের বেদনা এ গল্পের কেন্দ্রীয় মানুষটিও ভোগ করেছে। আইতমাতভ প্রেমে পড়েছিলেন কির্গিজ নাট্যমঞ্চের বিখ্যাত অভিনেত্রী বিউবিউসার। কিন্তু বিবাহিত চিঙ্গিস-এর এই বিবাহ-বহির্ভূত প্রেম দল ভালো চোখে নেবে না তাই আইতমাতভকে বাঁচাতে বিউবিউসা আইতমাতভকে ফিরিয়ে দেন। তানাবাইকেও ফিরিয়ে দেয় বিউবিউজান।
ছোট্ট করে আঁকা হলেও দাগ রেখে যায় তানাবাই-এর স্ত্রী জায়দার। যে রাতে জায়দার জোর করে তানাবাইকে রওনা করিয়ে দেয় তার বন্ধু চোরোকে দেখতে যাওয়ার জন্য – ভোলা যাবে না।
আর চোরো। নরম মনের হাল-না-ছাড়া মানুষ। ভালো মানুষ সমাজতন্ত্রী। দলের অনুশাসন মেনেও সোজা কথা সোজা ভাবে বুঝতে অভ্যস্ত তানাবাইকে পার করে নিয়ে চলে যা-হওয়ার-ছিল আর যা-হয়ে-চলেছের দুস্তর ফারাকের দিনগুলো। শেষে আটকে যায় সমাজতন্তের আষ্টেপৃষ্ঠে সেঁটে বসা আমলাতান্ত্রিক ধান্দাবাজদের জটীল গোলকধাঁধায়।
কিন্তু শুধু এইটুকুই নয়। আইতমাতভের আরও অনেক গল্পের মতই বিদায় গুলসারি-ও আমাদের কিছু মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়। যে জীবন দোয়েলের, ফড়িং-এর ঘোড়া-চারণের, ভেড়া প্রতিপালনের তার থেকে যে জীবন নাগরিকের, ট্রাকচালকের, পরিকল্পকের, পরিদর্শকের – তা কি প্রকৃতই আরও উন্নত জীবনের প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন? না কি আসলেই খারাপ, ফাঁকিবাজি? সত্যি-ই কি যৌথ-ব্যবস্থা ব্যক্তিনির্ভরতার দুর্বলতাকে কাটিয়ে ওঠার উপায়?
তাঁর সব গল্পেই আইতমাতভ নিয়ে আসেন কির্গিজিয়ার কোনও না কোনও লোকগাথা। এই গল্পেও অত্যন্ত কৌশলের সাথে ব্যবহার করেন এক শিকারির কাহিনী। শিকারির পরিণতি লোকগাথাটিতে যেমন বাস্তবেও তাই হয়েছে।
আইতমাতভ এ লেখায় সোভিয়েত ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলিকে, নির্মমতাগুলিকে সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন। কির্গিজ এবং রাশিয়ান দুই ভাষাতেই পারদর্শী আইতমাতভ তার আরও অনেক গল্পের মত বিদায় গুলসারিকেও লিখেছিলেন দুটি ভাষাতেই। কির্গিজে এবং রাশান-এ। রাশান ভাষায় ‘বিদায়’ লিখলেও কির্গিজে তিনি ব্যবহার করেছিলেন ‘জানিবারিম’ – আত্মা, জীবন, আত্মশক্তি। কেন? কির্গিজ পাঠককে আত্মশক্তিতে উদ্বুদ্ধ করতে? আমার জানা নেই। রাশিয়ায় দীর্ঘদিন কাটানো ব্রিটিশ সাম্যবাদী লেখক, অনুবাদক, অধ্যাপক জেমস রিওর্ডান লিখেছিলেন ‘আইতমাতভ একটি প্রহেলিকা’। ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থেমে গিয়েছিলেন এই বলে যে উনি দুটি ভাষাতেই গল্প লিখতেন। যেটা বলেননি সেটা হল আইতমাতভ কি করে ক্রুশ্চেভ থেকে শুরু করে ব্রেজনেভ, আন্দ্রপভ হয়ে গর্বাচভ পর্যন্ত সকলের মুগ্ধতা, প্রশস্তি আদায় করে নিয়ে এক-ই সাথে উদারনীতিবাদীদের-ও সোৎসাহ সমর্থন পেয়ে গিয়েছেন।
বলতে থাকলে কথা ফুরাবে না। পাঠক বরং বইটা হাতে নিন।
চিঙ্গিস আইতমাতভ আর তাঁর সৃষ্টিগুলিকে নিয়ে অনেকেই অনেক কথা লিখেছেন। চলচ্চিত্রও হয়েছে। আমি যা লিখলাম তা সবই আন্তর্জাল থেকে পাওয়া। লভ্য তথ্যের/কাহিনীর সামান্যই এখানে এসেছে। আগ্রহী পাঠকের জন্য উইকির বাইরের কয়েকটি লিঙ্ক নীচে দিলাম।
*******
বই প্রিভিউ
কিরগিজস্তান
কিরগিজস্তান
[প্রিয় বন্ধু ষষ্ঠ পাণ্ডবের উৎসাহে সেই সাথে আয়না-দিদির খুশী-ভরা প্রত্যাশার মুখ চেয়ে এই কিছু-মিছু লেখা হল। আমার প্রাপ্তি হল অনেক। দীর্ঘদিন ধরে ভেবে আসা অনেক অনুমান, প্রশ্নকে মিলিয়ে নেয়া গেল। আনন্দে কাটল কয়েকটা দিন। অনেককাল বাদে সারারাত ধরে কিছু লেখা হল।]
চিঙ্গিস টোরেকুলোভিচ আইতমাতভ, টোরেকুলপুত্র চিঙ্গিস আইতমাতভ।
স্তালিন জমানায় দেশের শত্রুদের নিশ্চিহ্নকরণ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রীয় খুনীবাহিনী এন কে ভি ডি-র হাতে নিহত সোভিয়েত কর্মী টোরেকুল আইতমাতভের ছেলে চিঙ্গিস আইতমাতভ – যিনি বাবাকে কখনো ভোলেননি।
Recent Posts
Categories
- Blog
- Book Chapter
- featured
- অঞ্জলি
- অনুবাদ
- অনূদিত কবিতা
- অনূদিত গল্প
- আলাস্কা গ্লেসিয়ার বে
- ঈশপের গল্প
- কবিতা
- কিছুমিছু
- ক্যালিডোস্কোপ
- ক্রুজ
- গল্পপাঠ
- গুরুচন্ডালি
- ছোট গল্প
- টুকিটাকি
- দুকূল
- নীতিকথার অনুবাদ
- পাঠ প্রতিক্রিয়া
- ফটোগ্রাফি
- বইয়ের হাট
- বাছাই
- বেড়ানোর গল্প
- মৌলিক কবিতা
- রুট ৬৬ গ্রুপ পোস্ট
- রুট ৬৬ শারদীয়া ২০২০
- সচলায়তন
- স্মৃতিকথা