Category: সচলায়তন

ক্যালিডোস্কোপে দেখি – ১০

ক্যালিডোস্কোপ-৪ || উত্তরবঙ্গ-২ *** *** খেলনাটা নিয়ে খেলবার সময়, মনে আছে, ঘোরাতাম একটু একটু করে। এক সময় ফিরে যেতাম আগের অবস্থানে। কিন্তু পুরানো ছবি আর ফিরত না। জীবনের ক্যালিডোস্কোপেও ফেরে না। আমার সে উত্তরবঙ্গের দিনগুলোও ফিরবে না আর। স্মৃতির সরণীতে শুধু মাঝে মাঝে দেখতে পেয়ে যাই তাদের, আচমকাই, কখনো ঝাপসা, কখনো উজ্বল – যেন কাল-ই…

Read More

ক্যালিডোস্কোপে দেখি – ৯

ক্যালিডোস্কোপ-৩ || অভ্র আর বর্ষপূর্তি *** *** এইমাত্র আইঅভ্র নামিয়ে নিয়ে চালু করা হয়ে গেল। লিখতে থাকি এখন। আমার বই-খাতায় অ্যালার্জি। আক্ষরিক অর্থেই। পুরান-নুতন যে কোন বই কয়েক পাতা নাড়াচাড়া করলেই চোখ চুলকান, জল ভরে আসা শুরু হয়ে যায়। এদিকে পড়ার সময় অক্ষররা, সংখ্যারা স্থান পরিবর্তন করে ফেলে। ফলে একই লাইন ফিরে ফিরে পড়তে হয়।…

Read More

ক্যালিডোস্কোপে দেখি – ৮

ক্যালিডোস্কোপ-২ ।। ফটো তোলা *** *** আমার বয়স তখন এগারো-বারো বছর হবে। ভাড়া থাকি দোতলা এক বাড়ির নীচের তলাটিতে। কিন্তু আমার বিচরণ ছিল গোটা বাড়ি জুড়েই। এক মায়াবী দুপুরে, চিলেকোঠার ঘরটা থেকে হাতে এসে গেল আগফার একটি বাক্স-ক্যামেরা, আদিযুগের। তার সবচেয়ে পছন্দের বৈশিষ্ট্য ছিল – দুটি ভিউ-ফাইন্ডার। একটি ক্যামেরার পিছনের দেয়ালে, অন্যটি ক্যামেরার ছাদে। ক্যামেরাটির…

Read More

ক্যালিডোস্কোপে দেখি – ৭

ক্যালিডোস্কোপ-১ || উত্তরবঙ্গ-১ *** *** দূরবীণ দিয়ে দেখতে চেষ্টা করেছিলাম পার হয়ে আসা জীবন নাটক। কিছু ভুল, কিছু ফাউ প্রাপ্তির গল্পের পর থমকে গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে মিলে গেল ক্যালিডোস্কোপ। তিন আয়নাভরা একটা নলের এক প্রান্তে কয়েকটা রঙ্গীন, হালকা, টুকিটাকি টুকরো – ভাঙ্গা চুড়ি, ছোট্ট পুঁতির দানা। নল ঘোরে, আয়না ঘোরে, টুকরোরা ঘুরে ঘুরে রচনা করে ছবির পর ছবি, অজস্র, অফুরান। ছোটবেলার…

Read More

ক্যালিডোস্কোপে দেখি – ৬

জীবন-নাটক *** *** আমার সেই গহীন ছোটবেলার সবচেয়ে উত্তেজনাময় যে স্মৃতিটি আমার মনে পড়ে সেটি আমাকে আজো আচ্ছন্ন করে রেখেছে। আমি তখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে। ঠিক কি উপলক্ষে আজ আর মনে পড়ে না, আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়-এর একটা বড় অনুষ্ঠান হয়েছিল। রীতিমত মাঠ জুড়ে প্যান্ডেল বেঁধে। সেই উপলক্ষে প্রচুর বক্তৃতা আর নাচ-গান-আবৃত্তির সাথে একটা নাটকের আয়োজন করা…

Read More

ক্যালিডোস্কোপে দেখি – ৪

ফাউ *** *** আমাদের ছোটবেলায় একটা দৃশ্য খুব সাধারণ ছিল। রাস্তা দিয়ে ফেরিঅলা হেঁটে যেত রকমারী বিচিত্র হাঁক দিতে, দিতে। বাংলা সাহিত্যে নানা লেখায় এই ফেরীঅলারা অমর হয়ে আছেন। অচেনা, অজানারা ক্ষতি করে রেখে যাবে – এমন আশংকায় জীবন কাটাতেন না আমাদের মা-ঠাকুমারা। এত হরেক কিসিমের ভয়ে ভয়ে বাঁচার জীবন ছিল না তখন! অনায়াসে এই…

Read More