জলছবি
আকাশ ফালা ফালা হয়ে যাচ্ছিল
প্রবল বিদ্যুতে
(কথা ছিল শেষ সাক্ষাৎ হবে এই)
অঝোর ধারা ভিজিয়ে দিচ্ছিল আমার
পা, হাত, পেট, বুক, ঠোঁট, চোখ, চুল
(বলেই দিয়েছ তুমি, মানে নেই, কোনও মানে নেই)
পৃথিবীটা ভেঙ্গে যাচ্ছিল টুকরো হয়ে
একটা অন্তহীন দুঃস্বপ্নের মতো।
(এ ঘোর বরিষণে কে বা বাহিরায়!)
ঝাপসা আকাশ আর রাস্তার প্রান্তসীমায়
একটা বিরাট ধূসর ক্যানভাস জুড়ে
ভেসে উঠল প্রথম সম্ভাবনার চিহ্ন।
(এমনও হয়, ওগো এমনও হয়!)
বাইরের আর ভিতরের জলে
ভেসে যাওয়া
আমার চোখের নীচের থেকে তোমার আঙুল
সরিয়ে দিল লেপ্টে থাকা কয়েকটা চুল।
আস্তে করে বললে –
চলো।
(তার পরের কয়েকটা মুহূর্তকে
ধরে রাখুক আমাদের বাকি জীবন।)
আমরা তখন হাসছিলাম।
[দুকূল উৎসব ২০১৪ সংখ্যায় প্রকাশিত]
চলে তো একদিন যেতেই হবে,
সেটা বড় কিছু কথা না
তার আগে কত পথ হেঁটে গেলাম – কথা সে’টাই।
Recent Posts
Categories
- Blog
- Book Chapter
- featured
- অঞ্জলি
- অনুবাদ
- অনূদিত কবিতা
- অনূদিত গল্প
- আলাস্কা গ্লেসিয়ার বে
- ঈশপের গল্প
- কবিতা
- কিছুমিছু
- ক্যালিডোস্কোপ
- ক্রুজ
- গল্পপাঠ
- গুরুচন্ডালি
- ছোট গল্প
- টুকিটাকি
- দুকূল
- নীতিকথার অনুবাদ
- পাঠ প্রতিক্রিয়া
- ফটোগ্রাফি
- বইয়ের হাট
- বাছাই
- বেড়ানোর গল্প
- মৌলিক কবিতা
- রুট ৬৬ গ্রুপ পোস্ট
- রুট ৬৬ শারদীয়া ২০২০
- সচলায়তন
- স্মৃতিকথা